গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা সদরের ঘোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির বহরের ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নিহতরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার ও লিটন। এরমধ্যে শওকত আলী দিদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তার বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে। তবে লিটনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী তার নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। তার আগমন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেল তিনটায় জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় পথসভা শেষে চারটার দিকে ঘোনাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় ঘোনাপাড়ায় তাদের গাড়ি বহর পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান।

এ সময় ছবি তুলতে গেলে এক সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে লিটনের মৃত্যু হয়।

হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ আরও ৩০ জন আহত হন।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সুজন শিকদার।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সুজন শিকদার বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে লিটন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগরে রাজনীতি করতেন।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।