নাফ নদী

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদীতে যাত্রীবাহী বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে আব্দুর রশিদের মালিকাধীন যাত্রীবাহী একটি ট্রলার নাফ নদীর মাঝপথে নাইক্ষ্যংদিয়া পার হলে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে ভিড়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তবে মিয়ানমার থেকে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ট্রলারের থাকা যাত্রী নাছির উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে অসুস্থ মাকে নিয়ে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য সার্ভিস ট্রলারে করে টেকনাফে রওয়ানা দিই।মাঝপথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলার চরের কাছাকাছি পৌঁছারে হঠাৎ মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে ট্রলারে থাকা ৫০-৬০ যাত্রী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। কেউ কেউ ট্রলারের নিচে শুয়ে পড়েন। অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এতে ট্রলারের একটি কাঠ ভেঙে পরে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ফের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলরত যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে ট্রলারে গুলিবর্ষণের বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ট্রলারে গুলি করার বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।

এরআগেও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছিল। মিয়ানমার সীমান্তের ওই এলাকাটি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।