নারায়ণগঞ্জে মাদরাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি, সংঘর্ষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূইগড় দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মাদরাসায় গেলে অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক মকবুল হোসেন, নাফিউ সাগর, কাউসার, হিমেল, ইমরান, শাহাদাৎ, ফিরোজ, সাজিন, শাহিন, সাজ্জাদ। তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. খালিদ উল্লাহ গত এক যুগ ধরে অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এমপিও বেতনের বাহিরে মাদরাাসা ফান্ড থেকে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা অতিরিক্ত বেতন হিসেবে দশ লাখ আশি হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম, মাদরাসার জমি বিক্রয় এবং জমি ক্রয়ের ৭ (সাত) কোটি টাকার কোনো হিসেব না দেওয়া, ঘুষ গ্রহণ, পক্ষপাতিত্বমূলক কমিটি করা, এমপিও ভুক্তির ৩০ লাখ টাকার হিসেব না দেওয়া, কয়েকজন শিক্ষক মাদরাসায় ক্লাস না করালেও নিয়মিত বেতন দেওয়া, একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানো, আয়া দিয়ে বা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর একান্ত ব্যক্তিগত রুমে ব্যক্তিগত কাজ করানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বেশ কিছুদিন ধরেই অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন। এসব বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়করা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষের লোকজন শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

হামলার বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. খালিদ উল্লাহ বলেন, দুপুরে শিক্ষার্থী পরিচয় দানকারী কিছু বহিরাগত ও কয়েকজন বিএনপি নেতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে আমার পদত্যাগ দাবিতে মিছিল করে। বহিরাগতদের মাদরাসায় এসে মিছিলের খবর শুনে মাদরাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাও জড়ো হয়। তারা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় বহিরাগতরা পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।