শ্রমিকলীগ-ছাত্রলীগ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে তিন নেতাকর্মী

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় গণসমাবেশ শেষে শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ মোট ৯ জন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে হোমস’র মাঠে পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ হাবিবুর রহমান তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেন।

যোগদানকৃতরা হলেন- কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকলীগের সাবেক একাংশ কমিটির সেক্রেটারি মো. আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও মো. সোহাগ। এছাড়াও বাকিরা সবাই কুয়াকাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে বিকেল ৩টায় মহিপুর থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে মহিপুর থানা শাখার সভাপতি আলহাজ মোসলেম উদ্দিন মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ মুফতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা সহ-সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মাদ সেলিম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আর আই এম অহিদুজ্জামান, সদস্য আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আব্বাসী, ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম প্রমুখ।

গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, সাম্য, ন্যায়বিচার ও আদর্শভীত্তিক রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। এই স্বাধীনতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সবাইকে আহ্বান জানান।

শ্রমিকলীগ থেকে যোগ দেওয়া মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি মুসলমান হিসেবে ইসলামী দলকে ভালোবাসি, তাই অনেকদিন থেকেই যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন সুযোগ পেয়ে যোগ দিয়েছি। পরবর্তীতে আর দল পরিবর্তনের চিন্তা নেই।

পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ হাবিবুর রহমান বলেন, তারা দলে আসতে চেয়েছে, সে কারণে তাদের নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা তাদের পূর্ববর্তী কাজের খোঁজখবর নেবো। আওয়ামী লীগের ঘৃণিত কর্মকাণ্ড এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যদি কোনো কাজের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হবে। পরবর্তীতে তাদের সকল কার্যক্রম পর্যালোচনাও করা হবে। যাদি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করে তাহলেও তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।