সীতাকুণ্ড

লাপাত্তা ৯ কোটিপতি চেয়ারম্যান

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটিপতি চেয়ারম্যানের উপজেলা সীতাকুণ্ড। এখানকার ৯ চেয়ারম্যানের আটজনই চড়েন দামি গাড়িতে। এদের কেউ ঠিকাদার, কেউ শিপইয়ার্ড কেউ বা আবার রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সরকার পতনের পর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া এসব চেয়ারম্যানরা এখন লাপাত্তা।

তারা হলেন- উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী, বারৈয়াঢালার চেয়ারম্যান রেহান উদ্দীন রেহান, মুরাদপুরের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার, বাড়বকুণ্ডের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ্ মিয়াজি, বাঁশবাড়িয়ার চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর, কুমিরার চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরী, সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান মনির আহমেদ, ভাটিয়ারীর চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, সলিমপুরের চেয়ারম্যান সালা উদ্দীন আজিজ। এদের সবাই কোটিপতি হলেও শুধুমাত্র মুরাদপুরের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার ছাড়া সবাই চড়েন দামি গাড়িতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন উপজেলার সব চেয়ারম্যান। সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বদিউল আলমও কার্যালয়ে না আসায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নেই উপজেলা চেয়ারম্যানেরও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসব চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। এতদিন ভয়ে কেউ মুখ খুলেননি। হামলা-মামলার ভয়ে এলাকায় থাকতেন না অনেকে। সময়ের ব্যবধানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও (ফেসবুকে) নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যানদের অনেকে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। তাদের ইচ্ছে করলে পরিষদে আসেন। এদের মধ্যে সোনাইছড়ি ও সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনিয়ম সবচেয়ে বেশি।

কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী টানা চার মেয়াদে নির্বাচিত হন। কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তার এলাকার শিল্প কারখানা থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বারৈয়াঢালা চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিনের রেহান। চার বারের এ চেয়ারম্যানের রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি। থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। তালাক সংক্রান্ত বিচারে তার রয়েছে দক্ষতা। দুপক্ষকে ধমক দিয়ে বসান বৈঠকে। তারপর সালিশের নামে মূল টাকার অর্ধেক নেন নিজের পকেটে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে পদায়ন করা হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিবেন এ কর্মকর্তারা।

এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।