বন্যায় স্বজনদের দেখতে গিয়ে সন্তানসহ লাশ হলেন মামুন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকার একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন মামুন। চাকরির সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনদের দেখতে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে দুদিন আগে ছুটে যান তিনি।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে সপরিবারে আবার ঢাকায় ফিরছিলেন মামুন। পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালকসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা যাান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং ভায়রা-ভাই। তাদের মধ্যে স্ত্রী ও দুই সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিহত মামুনের ভাই হানিফ জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মামুন (৫০), তার ছেলে সাইমান (৫ মাস), শাশুড়ি মাজেদা বেগম (৭০) এবং মাইক্রোবাসচালক ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ার হাসান হাজারীর ছেলে আলাউদ্দিন হাজারী (২৭)।

আহতরা হলেন নিহত মামুনের স্ত্রী লাকী বেগম (৪০), মেয়ে সিনহা (২), মিথিলা (৮) এবং ভায়রা-ভাই জুবায়ের (২৮)।

হানিফ জানান, তার ভাই মামুন বন্যাকবলিত নিজ বাড়ির লোকজনদের দেখতে দুদিন আগে ফেনীতে আসেন। আজ ভোরে স্ত্রী-সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তিনি খবর পান তার ভাই-ভাতিজাসহ চারজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে নানকরা এলাকায় দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল বিকল একটি পিকআপভ্যান। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপের পেছনে ধাক্কা দেয়। এসময় একই দিক থেকে আসা স্টারলাইন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মামুন, তার ছেলে সাইমান, শাশুড়ি মাজেদা বেগম এবং মাইক্রোবাসচালক আলাউদ্দিন হাজারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী-সন্তানসহ চারজন আহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সাভির্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।