বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের মৃত্যু
মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতে আহত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) এক সদস্য মারা গেছেন। অ্যালকোহলিক সিরোসিসের কারণে দীর্ঘস্থায়ী লিভার সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যান।
দুই দেশের কূটনৈতিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ শ্মশানে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন সদরদপ্তর সূত্র জানায়, মিয়ানমার সরকারি বাহিনী ও বিভিন্ন অস্ত্রধারী সংগঠনের মাঝে চলমান সংঘাতে প্রাণ বাঁচাতে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অনেক সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে ১২৪ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফস্থ দমদমিয়া সীমান্ত রেস্তোরাঁয় বিজিবির প্রহরাধীনে রাখা হয়েছে। এদের মাঝে বিজিপি সদস্য লেন্স করপোরাল ক্যাওয়া নান্দা (৩০) ২৮ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) মেডিকেল অফিসারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২ আগস্ট রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে হাইপোভোলুমিক সকের সঙ্গে তীব্র কিডনি আঘাতজনিত রোগ শনাক্ত করে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও পরবর্তীতে আবার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ আগস্ট তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৩ আগস্ট ভোররাতে চমেকে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান বিজিপি সদস্য নান্দা।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে স্থানীয় জনতা, জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যহতভাবে দরকার।
সায়ীদ আলমগীর/জেডএইচ/জিকেএস