ছাত্র আন্দোলন

ঢাকার মামলায় আসামি পটুয়াখালীর মেয়র ও ফরিদপুরের ৫৯ জন!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ

রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফরিদপুর সদর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী (২৯)। এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খলিসাডুবি গ্রামের হাসিবুল হাসান লাবলু।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের আসামি করা হয়েছে। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদকেও।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলায় ১২০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী আবদুর রহমান ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত মামলার আসামি করা হয়েছে। আর এ মামলার ১৩ নম্বর আসামির তালিকায় রয়েছেন পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১ থেকে ৭ নম্বর আসামির নির্দেশে ৮ থেকে ১২০ নম্বর আসামি এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ জন প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় শান্তিপূর্ণ ছাত্র-জনতার মিছিলে আক্রমন করেন। সেখান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামির ছোড়া গুলিতে সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনা ঢাকার হলেও মামলায় ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলার ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে ফরিদপুর সদরের ২৩ জন, নগরকান্দার ২৪ জন, সালথার ৯, বোয়ালমারীর দুজন ও আলফাডাঙ্গার একজন আছেন। তাদের কারও কারও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মামলার নথিপত্র পাঠিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছেন বাদী।

সিরাজুল ইসলাম নিহতের বিবরণ দিয়ে তার বাবা শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ওইসময় জনতা বাড্ডা থানা আক্রমণ করে। পুলিশ গুলি করতে করতে থানা থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সিরাজুল। তার পকেট থেকে ফোন নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় একজন সিরাজুলের বড় ভাই শাহজাহানের ফোনে করে মৃত্যুর খবর দেন। পরদিন দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিরাজুলের মরদেহ নিয়ে বিকেলে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনায় মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন।

মামলার বিষয়ে জানতে বাদী হাসিবুল হাসান লাবলুর ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ঘটনার যে তারিখ (৫ আগস্ট) উল্লেখ করা হয়েছে, ওইদিন আমি পটুয়াখালীতে ছিলাম। যা নথিপত্র, পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ, আমার মোবাইলের লোকেশন পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলাটি করা হয়েছে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।