ঠাকুরগাঁও

সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ২৮ জনের নামে ১০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ২০ জনকে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপুগী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাবিবুল ইসলাম বাবলু। পরে আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন এটিকে থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজন, মমিরুল ইসলাম সুমন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, একই উপজেলার তাঁতীলীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামীম, মহিষমারি গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে হুমায়ূন কবির, কলেজপাড়ার মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে আদম আলী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ির মৃত শামসুলের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম ভাসানী, হরিণমারি সরকারপাড়ার মৃত মফিরতের ছেলে মতিন, বেলসাড়া গ্রামের মৃত রহমান আলীর ছেলে জুলফিকার আলী, বামুনিয়া পাড়িয়া গ্রামের মৃত তহিদুল ইসলামের ছেলে ফজলে রাব্বী রুবেল, রাঙ্গাটলি ভানোর গ্রামের দবিরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, আমজানখোর ইউনিয়নের মোড়ল বস্তি গ্রামের মৃত আকালুর ছেলে লাজিব উদ্দিন কালঠু, একই ইউনিয়নের উদয়পুর বাগানবাড়ি গ্রামের বাবা ঝরুয়ার ছেলে মুনছুর, কাশিডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে আজহার আলী, হরিণমারি সরকারপাড়া গ্রামের খতিবতের ছেলে আশরাফুল, সর্বমঙ্গলা বড়বাড়ি গ্রামের মোজাফর রহমানের ছেলে আরজু লিটন, বড়পলাশবাড়ী পূর্ব বড়গাছিয়া গ্রামের শহীদের ছেলে আবু শাহীন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চড়ইগতি গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে লাবলু, দোগাছি চাড়োল গ্রামের মৃত কফিজুল হকের ছেলে জিল্লুর রহমান, ভাঙ্গাটুলি ভানোর এলাকার মৃত উলফত উদ্দিনের ছেলে রফিক বিডিআর, আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ি গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শাহজাহান, বালিয়াডাঙ্গী ঢেকনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আমজানখোর ইউনিয়নের মাহাতবস্তি গ্রামের আকালু ডোঙ্গার ছেলে বাবু ও রত্নাই মারাধার গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে তাজু মেম্বার।

মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম বলেন, আমার ৯০ একর জমি রয়েছে। তারমধ্যে দখলে রয়েছে ২০ একর। বাকি জমি মামলার আসামিরা দখল করে রেখেছেন। আশা করছি আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবো।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।