৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ৭৪ মুসল্লি
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেলেন শিশু-কিশোরসহ ৭৪ জন মুসল্লি। তাদের বাইসাইকেল ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিংগাইর উপজেলার উত্তর জামশা আজগর আলী-হাফেজা খাতুন মাদরাসা ও এতিমখানা প্রাঙ্গণে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়। যার উদ্যোক্তা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী মো. মহিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ২০ জন শিশু-কিশোরকে বাইসাইকেল ও ৫৪ জন প্রবীণকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। পুরস্কার পেয়ে খুশি মুসল্লিরা। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।
বাইসাইকেল পুরস্কার পাওয়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিম খাঁ (১৩) জানায়, ৪০ দিন জামাতে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে। ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠতে প্রথম কয়েকদিন কষ্ট হয়েছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। নামাজ পড়ার পুরস্কারসরূপ বাইসাইকেল পেয়ে তার খুব ভালো লাগছে। এখন থেকে সাইকেল নিয়ে স্কুল করা যাবে বলে জানায় সে।
প্রবীণ হরণ খান (৯০) জানান, আগেও নামাজ পড়তেন তিনি। তবে পাঁচ ওয়াক্তই মসজিদে এসে এবং জামাতের সঙ্গে পড়া হতো না। তবে টানা ৪০ দিন তিনি মসজিদে এসে এবং জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়েছেন। এজন্য তাকে উপহার হিসেবে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই উপহারের চেয়ে আল্লাহর উপহারই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন তিনি। মহান আল্লাহর সেই উপহার পাওয়ার জন্য বাকি জীবন জামাতে নামাজ আদায় করতে চান হরণ খান।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা প্রবাসী মো. মহিদুর রহমান জানান, ৪০ দিন মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলে মহান আল্লাহ নিজ হাতে ৫টি পুরস্কার দিবেন। জানার পর তিনি নিজে ৪০ দিন জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। এরপর চিন্তা করেন দেশে ফিরে নিজের এলাকার মানুষের মাঝে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য তিনি পুরস্কার ঘোষণা দেন। এতে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। নামাজের জন্য মসজিদে ১০০ জন নিবন্ধন করলেও ৭৪ জন নিয়মিত নামাজ পড়তে পেরেছেন। সবাইকে পুরস্কৃত করতে পেরে তারও অনেক ভালো লাগছে।
বি.এম খোরশেদ/এফএ/জিকেএস