নেত্রকোনা

একরাতে পাঁচ মামলা, সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ আসামি ৬৯৫

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনার চার থানায় আরও পাঁচটি মামলা হয়েছে। রোববার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে কমলাকান্দা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরি ও সদরে মডেল থানায় মামলাগুলো নথিভুক্ত হয়। পাঁচ মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২২৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আরও ৪৭০ জনকে আসামি করা হয়।

দুর্গাপুর থানার মামলায় নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খানকে আসামি করা হয়। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটনকে আসামি করা হয়। এনিয়ে গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত জেলার ৯ থানায় ১৯টি মামলা হয়। মামলাগুলোতে নামসহ অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা দুই হাজার ৫৭ জন।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা হয়। একটি মামলায় কাটলি এলাকার মো. আল আমিন বাদী হয়ে ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করেন ৮০ জনকে। অপর মামলাটির বাদী জেলা শহরের কুড়পাড় এলাকার শেখ মোহাম্মদুল্লাহ। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমানকে প্রধান করে সাবেক সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খানসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৫০ জনকে। ওইদিন রাতে কলমাকান্দা থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন চারুলিয়া গ্রামের রিটন মিয়া। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেককে প্রধান করে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করেন ৮০ জনকে।

খালিয়াজুরি থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলার বাদী জগন্নাথপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। মামলায় ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়। দুর্গাপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন বরুঙ্গা গ্রামের আবু সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তি। মামলায় নেত্রকোনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদকে প্রধান করে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।

এ নিয়ে গত ১৭ আগস্ট থেকে আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে ১৯ মামলা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দুই হাজার ৫৭ জন। তাদের মধ্যে ৭৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। জেলা শহরের ছয় মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়। আর তিনটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খানসহ অন্যান্যদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের এসব নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ থানায় ১৯টি মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে।

এইচ এম কামাল/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।