কুমিল্লায় ত্রাণ উপদেষ্টা
১০ টাকার ইটা ১০০ টাকায় কেনা যাবে না
পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশে আর অতীতের মতো কিছু করা যাবে না বলে সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেছেন, ‘ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি সমন্বয় কমিটি প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি মনিটরিং করবে। সেটি আবার মানুষের কাছে প্রকাশ্য তুলে ধরা হবে। তাই ১০ টাকার ইটা ১০০ টাকায় কেনা যাবে না।’
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সার্কিট হাউজে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা মোকাবিলায় চলমান ত্রাণ কার্যক্রমসহ বন্যার্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
ফারুক ই আজম বলেন, ‘১০ টাকার ইটা ১০০ টাকায় কেনা যাবে না। অতীতে যা করেছেন সেগুলো একদম ভুলে যান। এটা নতুন একটা বাংলাদেশ। এটা মনে রাখবেন, এটা পরিবর্তিত বাংলাদেশ। আমাদের আর কোনো দেশ নাই। উত্তর দিকে কাঁটাতারের বেড়া, দক্ষিণে সমুদ্র। আমাদের দেশকে আমাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে। এটাই সুযোগ। এই সুযোগ হারানো যাবে না। ৭১ সালে এরকম একটা সুযোগ আসছিল। এটা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ৫৩ বছর সময় লাগছে, জনগণকে তার নিজের দেশ ফিরে পেতে। এটা বুকে রক্ত দিয়ে ফিরে পাওয়া হইছে।’
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের প্রতিনিধিরা কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা জানান, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি হবে। এই কমিটিতে যাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
প্রচলিত ধারার পুনর্বাসন কর্মসূচি বর্জন করে মেধা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক ই আজম বলেন, ‘বন্যাকবলিতদের সহযোগিতায় শুধু আমরাই কাজ করছি এমন নয়—সারা বিশ্ব এতে যুক্ত হচ্ছে। তাই আমরা অনন্য দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, যা আগে আমাদের কাছে সে সুযোগ আসেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আর কোনো দোহাই দিতে পারবেন না যে বড় ভাইয়ের কারণে আমি এ কাজ করতে পারছি না, আপনাদের সামনে কোনো বাধা নেই।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কর্নেল আব্দুল আজিজ, সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার, কুমিল্লা পুলিশ সুপার আশফিকুজ্জামান আক্তার, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং এলজিআরডির নির্বাহী প্রকৌশলী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তারা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা।
এমএমএআর/এএসএম