জামায়াতের আমির

ক্ষমতার মালাই খাওয়া জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য নয়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতার মালাই খাওয়া জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য নয়। সমাজের একটা গুণগত পরিবর্তন আনা আমাদের উদ্দেশ্য। এমন একটি দেশ, এমন একটি জগৎ আমরা আমাদের এখানে চাই যে দেশে জাতি দল নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দিতে পারবে।

সোমাবার (২ সেপ্টম্বর) বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে নিহত রুদ্রসেন, অন্যান্য শহীদ ও আহতদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে, তাদের বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে। যাতে শহীদদের পরিবার বলতে পারেন, আমাদেরও একজন শহীদ আছে। আমাদেরও একজন আবু সাইদ আছে, আমাদেরও একজন মুগ্ধ আছে, আমাদেরও একজন রুদ্রসেন আছে, আমাদেরও একজন রাহুল আছে।

ক্ষমতার মালাই খাওয়া জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য নয়

তিনি আরও বলেন, যে দেশে ছাত্ররা বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, সে দেশে সকল প্রকার বৈষম্যের কবর রচনা হোক। যে দেশে মসজিদ পাহারার প্রয়োজন হয় না, সে দেশে মন্দিরও পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক, যারা জন্মগ্রহণ করবে তারাও এই দেশের নাগরিক। কোনো বিশেষ গোষ্ঠি বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলন করেনি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে দেশের সোনার সন্তানেরা শহীদ হয়েছে। বুকের তাজা রক্তে ভরে উঠেছে এই দেশের রাজপথ। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে এই সফলতা যদি কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ তা সহ্য করবে না। আপামর জনতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে যদি কোনো গোষ্ঠি সুফল নিতে চায় তা হবে না। যদি কেউ এই আন্দোলনের সুফলকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে।

বক্তব্য শেষে তিনি মঞ্চে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ পরিবারগুলো আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র, গর্বের পাত্র। আমি এখন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবো। আপনারা সেদিকে ক্যামেরা বা মোবাইল ঘুরাবেন না। এ সময় তিনি শহীদ সাত পরিবারকে ১৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।