বন্যায় নোয়াখালীতে প্রাণিসম্পদের ক্ষতি সোয়া ৮ কোটি টাকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৬:৪২ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৪

নোয়াখালীর আট উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন ও সাত পৌরসভায় ভয়াবহ বন্যায় প্রাণিসম্পদের ক্ষতি হয়েছে সোয়া ৮ কোটি টাকার। এরমধ্যে গৃহপালিত পশু মারা গেছে প্রায় দুই লাখ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বন্যার পানিতে মারা গেছে প্রায় এক লাখ ৮৭ হাজার ৩১৪টি গৃহপালিত পশু। যার মধ্যে রয়েছে ২৮টি গরু, একটি মহিষ, ১২টি ছাগল, তিনটি ভেড়া, এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৭০টি মোরগ-মুরগি ও ৫০০ হাঁস। পানিতে ভেসে গেছে ৪৮ হেক্টর গোচারণভূমি, ১৫৪ টন দানাদার খাদ্য, ৩৪৬ টন খড় ও ৩৬৬ টন কাঁচাঘাস। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

এছাড়া জেলার ১০৮টি গরুর খামার নষ্ট হয়েছে। যেখানে ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ১৯৬টি হাঁস-মুরগির খামারে ক্ষতি হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ টাকা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিহা ও এনপি পোলট্রির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ নূর উদ্দিন বলেন, ২২ আগস্ট বন্যার পানি ডুকে খামারের ১৭ দিন বয়সী ৮ হাজার মুরগি মারা যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া গরুর খামারে তিনটি বাছুর ও সাতটি বড় গরু মারা যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।

এছাড়া ওই এলাকার আশপাশের রাণী পোলট্রি, মিয়া পোলট্রি, আশেক পোলট্রি, নবাব পোলট্রি ও নোভা পোলট্রিসহ প্রায় ১০টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আট উপজেলায় প্রাণিসম্পদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুরো জেলায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ত্রাণের পাশাপাশি গোখাদ্য সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান।

এদিকে গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানিবন্দি রয়েছেন অনেকে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আট উপজেলায় এখনো ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি। দুই লাখ ৩১ হাজার ২৬৩ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে শুকনো খাবার, নগদ টাকাসহ এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।