দুপুরে নবজাতক রাতে মায়ের মৃত্যু, ক্লিনিক ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৪

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে। পরে এ ঘটনায় ক্লিনিকটিতে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগসট) রাতে উপজেলার হ্যাপি ক্লিনিকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

রোগীর স্বজনরা জানান, বুধবার (২৮ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে প্রসব বেদনা ওঠে পূর্ব ডামুড্যা এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আকলিমা বেগমের। পরে তাকে ডামুড্যা বাজার এলাকার হ্যাপি ক্লিনিকে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এসময় হাসপাতালটিতে চিকিৎসক না থাকলেও সিনিয়র নার্স সোহানা রোগীকে ভর্তি নেন। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন আকলিমা।

দুপুর নবজাতক রাতে মায়ের মৃত্যু, ক্লিনিক ভাঙচুর

জন্মের কিছুক্ষণ পর নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ে। মা আকলিমারও শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরে সকাল ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে দুপুরে নবজাতক ও রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকলিমা। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলার অভিযোগ তুলে রাতে হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালান রোগীর স্বজনরা।

আকলিমার ভাই কাউছার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসি তখন কোনো চিকিৎসক ছিল না। তারা চিকিৎসক ছাড়াই রোগী ভর্তি নেন। আমরা বারবার চিকিৎসকের কথা জিজ্ঞেস করলে ক্লিনিকের পরিচালক আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। একপর্যায়ে চিকিৎসক এসে আমার বোনের অবস্থা দেখে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। পরে আমার ভাগিনা আর বোন দুজনই মারা যায়। এসব কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’

জানতে চাইলে হাসপাতালটির পরিচালক আব্দুর সাত্তার বলেন, ‘রোগীর ভর্তির ব্যাপারে সিনিয়র নার্স আমাদের কিছু জানায়নি। সকালে বাচ্চা প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে আমাদের জানায়। পরে চিকিৎসক দ্রুত ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।’

দুপুর নবজাতক রাতে মায়ের মৃত্যু, ক্লিনিক ভাঙচুর

এ বিষয়ে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি ক্লিনিকের নিচতলা ভাঙচুর করেছেন রোগীর স্বজনরা। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা খোকন বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে গাফিলতির সত্যতা পেলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।