হত্যার ২৬ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ১০:০৭ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৪

যশোরে রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে হত্যার ২৬ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবনসহ ১০ আসামির কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৪টায় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন ও চারজনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে জরিমানাও করা হয়। তবে মামলা চলাকালীন চার আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা হলেন আড়পাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ওয়াদুদ, ফয়জুর আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম, মকু আলীর ছেলে মাহবুব আলী, ওয়াদুদের ছেলে আজিজুর, মহাসিন আলীর ছেলে আরিফ, আবুল হোসেনের ছেলে জাকির, সাখাওয়াৎ হোসেনের ছেলে কাওছার আলী, পাচু আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলাম।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ১৩ জানুয়ারি আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালান। এরপর আসামি ইকবাল তার হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে রফিকুলকে আঘাত করেন। এতে তিনি পড়ে গেলে অন্য আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও গলা কেটে হত্যা করেন। এসময় রফিকুলের চাচাতো ভাই নাজের, আকরাম তাকে রক্ষায় ছুটে গেলে আসামিরা তাদের পিটিয়ে জখম করেন। পরে আসামিরা রফিকুলের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে চলে যান।

এ ঘটনায় রফিকুলের ফুপাতো ভাই ইশারত হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ১৯৯৮ সালের ২৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা জানান, আসামি ওয়াদুদ, রবিউল, জহিরুল, মাহাবুব, আজিজুর ও আরিফকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড; জাকির, কাওছার, আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলামকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। অপর চার আসামি মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।

মিলন রহমান/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।