জয়পুরহাট

সবজির দাম চড়া, নাকাল অবস্থা ক্রেতাদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৪

জয়পুরহাটের কচুর লতি, শসা, পটোল, চিচিঙ্গা, করলা, আলুসহ অনেক সবজি যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অথচ সেখানকার স্থানীয় বাজারেই সবজির দাম চড়া। এতে ক্রেতাদের নাকাল অবস্থা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট, পূর্ব বাজার, সাহেব বাজারসহ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে প্রচুর সবজি। নিয়মিত আসছে আগাম লাগানো শীতকালীন সবজি। তবুও সবজির দাম চড়া। তবে অন্য সবজির তুলনায় আলু, কচু, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেশি।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০-১৬০ টাকার নিচে। পেঁয়াজের দাম ১০০-১২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ৯০-১০০ টাকা কেজি ছিল পেঁয়াজ।

এছাড়া লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা আঁটি, আর করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫৫-৬০ টাকা, আলু ৫০- ৬০ টাকা, পটোল ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে।

বড় বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জাহেদুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে বেশিরভাগ সবজির দাম বেশি।

সবজির দাম চড়া, নাকাল অবস্থা ক্রেতাদের

বাজারে আসা ক্রেতা মইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের বাজার করতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব জিনিসের দাম বেশি, বাজার ব্যবস্থা দেখার মতো কেউ নেই।

ছোট মাঝিপাড়া গ্রামের সবজি চাষি আলতাফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করেছি। ব্যবসায়ীরা ১৩০-৪০ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে কিনছেন। এবার কাঁচা মরিচ উৎপাদন করে ভালো লাভ হয়েছে।

জয়পুরহাট কৃষি বিপণন কার্যালয়ের বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রতন কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা কিছু কিছু জায়গায় মনিটরিং করি, তবে জনবল কম থাকায় সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না।

আল মামুন/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।