মনোহরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণের জন্য হাহাকার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২৪

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছেনা ত্রাণ। ত্রাণের জন্য বানভাসি মানুষের হাহাকার চলছে।

ভারতের উজান থেকে আসা পানিতে বিভিন্ন এলাকায় ডাকতিয়ার বাঁধ ভেঙে উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। বানভাসিদের জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পনিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ এখনো পনিবন্দি হয়ে আটকা রয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা সড়ক সংলগ্ন গ্রামগুলোতে ত্রাণ সহায়তা দিলেও অধিক পানির কারণে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে পৌঁছানো যাচ্ছে না ত্রাণ সহায়তা। এতে বানভাসি মানুষের মাঝে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর পানি উপচে ও বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা অফিসের তথ্যমতে, ডাকাতিয়া নদীর পানি সব পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে আগের তুলনায় বেড়েই চলেছে। ফলে ডাকাতিয়া নদীর কয়েকটি স্থানে পাড় ভেঙে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

এ পর্যন্ত বানভাসিদের জন্য ১০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১২ হাজারের অধিক মানুষ ওইসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তবে কিছু আশ্রয় কেন্দ্রের নিচতলা ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলায় ১০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ওইসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১২ হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে একটি গ্রামে ৩০টি পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছি। সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে একশোটি পরিবার অবস্থান করছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।