ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটে চালু হলো বিআরটিসি বাস সার্ভিস

অবশেষে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে চালু হলো বিআরটিসি বাস সার্ভিস। রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের রয়েল মিডিয়া কলেজের সামনে থেকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটে বাসটি চালু হয়।

ফিতা কেটে বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম ও যাত্রী খালেদা আক্তার।

এরআগে এই সড়কে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালুর জন্য ২০১৯ সালে আন্দোলন শুরু হলেও সিন্ডিকেটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু হলো।

ফিতা কেটে বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করতে পেরে আপ্লুত কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা বৃদ্ধা খালেদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘বাসে করে নেত্রকোনা যাবো বলে এসেছিলাম। কিন্তু আমাকে দিয়ে ফিতা কেটে বাসেরই উদ্বোধন করানো হলো। খুব ভালো লাগছে।’

ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালুর জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন এশিয়া প্যাসিফিট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু ছাওয়াদ।

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে সেসময় আন্দোলন সফল হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর জেলা প্রশাসন ও মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত হওয়ায় ছাত্র-জনতা খুশি।

আবু ছাওয়াদ আরও বলেন, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা বাস সার্ভিস ছিল খুবই নিম্নমানের। লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভাড়া গুনতে হতো বেশি। পুনরায় বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় দুই জেলার মানুষ উপকৃত হবেন। তবে কোনো সিন্ডিকেটের কব্জায় পড়ে এটি যেন আবার বন্ধ না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

বাস সার্ভিস উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসি ময়মনসিংহ ডিপোর হিসাব ইনচার্জ ফয়সাল আহমেদ, ট্রাফিক প্রধান মনির হোসেন, সহকারী প্রশাসন ইনচার্জ পলাশ দেবনাথ এবং বাস সার্ভিস চালুর জন্য আন্দোলন করা কিছু শিক্ষার্থীরা।

বিআরটিসি বাস ডিপোর হিসাব ইনচার্জ ফয়সাল আহমেদ বলেন, সড়কটিতে মোট ছয়টি বাস চলাচল করবে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬০ টাকা। বাস সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাস সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই জেলার মানুষই উপকৃত হবেন। কোনো সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে এটি যেন বন্ধ না হয়, সেদিকেও নজর রাখবে প্রশাসন।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম