বরিশালে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
বরিশালের উজিরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ইদ্রিস হাওলাদার তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতলা ব্রিজের পশ্চিমপাড় অতিক্রমকালে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে দুজনকেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ইদ্রিস হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। গুরুতর আহত সাগর হাওলাদার রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাওলাদার, যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার বাদী ছিলেন নিহত ইদ্রিস হাওলাদার। মৎস্য ঘেরে হামলা ও লুটপাটের মামলায় প্রায় চার মাস আগে বিএনপি নেতা ইলিয়াস হাওলাদার, তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও আসাদ হাওলাদার জেলহাজতে ছিলেন। এ ঘটনায় মামলার আসামিরাই দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
নিহত ইদ্রিসের স্ত্রী রেশমা খানম অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইদ্রিস হাওলাদারের দায়ের করা মামলার আসামিরা তাকে (ইদ্রিস) হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই ঘটনার জের ধরেই তার স্বামী ও দেবরকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করেছেন।
শাওন খান/এফএ/জেআইএম