সাজেক ছেড়েছেন আটকা পড়া আড়াইশো পর্যটক
রাঙ্গামাটিতে ডুবে যাওয়া বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের পানি সরে যাওয়ায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ সময় সাজেকে আটকা পড়া আড়াইশো পর্যটক নিরাপদে ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বৃষ্টি থেমে গেছে। এ সময় কাচালং নদীর পাহাড়ি ঢলও কমে যায়। ফলে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের তলিয়ে যাওয়া তিন স্থানের পানি কমে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। গত তিন দিনে আটকা পড়া ২৬০ জন পর্যটক খাগড়াছড়ি শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের বহনে জিপ, মাহিন্দ্র, মোটরসাইকেল সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের প্রবেশমুখে লাইন ধরে দাঁড়ায়। পরে বেলা ১১টা থেকে ১৩টি জিপ ও ৬০টি মাহিন্দ্রা-মোটরসাইকেলে ওই পর্যটকরা খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাঘাইহাট থেকে সাজেকে এসব পর্যটক বেড়াতে যান। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে ভারী বৃষ্টি হলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদী উপচে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় দুটি স্থান এবং মাচালং বাজার এলাকা ডুবে যায়। এতে এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে পর্যটকরা সাজেকে আটকা পড়েন।
সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের গাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন বলেন, আটকা পড়া পর্যটকরা আজ বেলা ১১টার দিকে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তারা বিকেল তিনটার মধ্যে খাগড়াছড়ি গিয়ে পৌঁছাবেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, আটকা পড়া পর্যটকরা নিরাপদে ফিরে গেছেন। রিসোর্ট-কটেজে আটকা পড়া পর্যটকরা যতদিন ছিলেন, কোনো কক্ষের ভাড়া নেওয়া হয়নি। শুধু পানির বিল নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আটকা পড়লে পর্যটকদের এ সুযোগ দেওয়া হয়।
সাইফুল উদ্দীন/এফএ/এমএস