মিরসরাইয়ে পানিবন্দি লাখো মানুষ, নেই বিদ্যুৎ-মোবাইল নেটওয়ার্ক
উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এবার প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ছয়দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল এবং ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ওঠায় আরও কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
শুকনো খাবার ও উদ্ধার অভিযানে যাওয়া মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম জানান, মিরসরাই এবং ফেনীতে পানিবন্দি মানুষকে সহযোগিতা এবং উদ্ধার কাজে দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবীরা অনেকেই যানজটের কারণে পথে আটকে রয়েছেন।
ইছাখালী এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের এলাকায় তেমন পানি ছিল না। শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। এখন মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, ধুম ও ইছাখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দিনান্তের মধ্যে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে গেলেও বাড়ি-ঘর ফেলে যাননি অসংখ্য মানুষ। পরবর্তীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে এসব এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এখন নতুন করে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশ, ইছাখালী, কাটাছরা, মিঠানালা ও মঘাদিয়া ইউনিয়ন প্লাবিত হচ্ছে। দোতলায় বাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মানুষ।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উদ্ধার ও শুকনো খাবার বিতরণ করছেন।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, পানির তীব্রতা বেড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। এতে সংবাদ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে।
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/এএসএম