বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতীর পানি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৪

টানা তিনদিন ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর চর ও পাড়ের মধ্যে বসবাসকীরীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ঝুঁকিতে পড়েছে গোমতীর বাঁধ। কয়েকটি স্থানে ফাটলও দেখা দিয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর থেকে তলিয়ে যেতে শুরু করে গোমতী চরের গ্রামগুলো। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে গোমতির পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার ফলে গোমতীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ডম্বুরা লেকের বাঁধ খুলে দেওয়ায় পানি আসছে। ফলে গোমতীর আশপাশের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতীর পানি

চাঁনপুর এলাকার বানভাসী জালাল মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতেও পানি অনেক কম ছিল। ভোর থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকে। সকাল ৮টা থেকে হু হু করে ঘরে পানি প্রবেশ করে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ঘরে পানি বুক সমান হয়ে যায়।

তামান্না নামে এক গৃহবধূ বলেন, পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ হবে ভাবতেও পারিনি। এছাড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকেও কোনো পূর্বাস দেওয়া হয়নি। ঘরের কোন মালামাল বাঁচাতে পারিনি। কোনো রকম গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি বাঁধের উপরে তুলেছি। এখন ছেলে মেয়েদের নিয়ে কই যাবো, কি করবো কিছুই বুঝতেছিনা।

এদিকে পানিবন্দি মানুষের জন্য সদর উপজেলায় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আশপাশের উঁচু অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রশাসন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতীর পানি

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোমেন রায় জাগো নিউজকে বলেন, তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি। বানভাসি মানুষের মাঝে শুকনো খাদ্য সহায়তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না হলে পাশপাশের সব বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে গোমতীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাঁচটি টিম বাঁধ পর্যবেক্ষণে গোমতীর পাড়ে অবস্থান করছে। কোথাও বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করা হচ্ছে। আশপাশের মানুষজনদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জাহিদ পাটোয়ারী/এএইচ/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।