বন্যায় সাজেকে আটকা ২৫০ পর্যটক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৪

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পুরো খাগড়াছড়ি। বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দীঘিনালায় পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।

এদিকে মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডু্বে গেছে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের একাধিক অংশ। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়েছেন অন্তত ২৫০ পর্যটক।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল থেকে সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারসহ একাধিক অংশ ৫-৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।

দীঘিনালার কবাখালিতে আটকা পড়া পর্যটক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছি। বন্যার কারণে এখনে আটকা পড়েছি। সড়কের দু-তিন জায়গায় পানি উঠেছে।

এদিকে খাগড়াছড়ি শহর ঘেঁষা চেঙ্গী নদীর পানি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ির শহর তলীর এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েছেন।

বন্যায় সাজেকে আটকা ২৫০ পর্যটক

বন্যা দুর্গতদের জন্য ১২ টন খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই হাজার ৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ হয়েছে।

মেরুং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা বন্যা দুর্গতদের শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে। মাইনী নদীর পানি না কমায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখনো মেরুং বাজার পানির নিচে।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়ার পক্ষে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন নেতাকর্মীরা।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিনাভোটের জনপ্রতিনিধিরাও পালিয়ে গেছেন। ওয়াদুদ ভুঁইয়ার নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা দুর্গত মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।