অপকর্মের দায় স্বীকার
ছাত্রদের তোপের মুখে কর্মস্থল ছাড়লেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ছাত্রদের তোপের মুখে নারী কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে কর্মস্থল থেকে বিদায় নিলেন এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারীর অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী ২০২৩ সালে হাসপাতালে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, ভুয়া-বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত, ছদ্মনামে হাসপাতালের ঠিকাদারি কাজসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি হাসপাতালের এক সিনিয়র নার্স বদলিজনিত কারণে তার কাছে সইয়ের জন্য যান। এসময় তিনি তাকে নানা কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। বিষয়টি জানতে পেরে একদল ছাত্র মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে যান। পরে ঘটনাস্থলে যান জেলার সিভিল সার্জনও। এসময় ছাত্রদের তোপের মুখে পড়ে সিভিল সার্জনের সামনেই তার বিরুদ্ধে আনা সব দুর্নীতি ও অপকর্মের দায় স্বীকার করেন। একইসঙ্গ স্বেচ্ছায় অব্যাহতিপত্র দেন। পরে ছাত্রদের সামনেই সরকারি গাড়িতে করে কর্মস্থল থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান তিনি।
এসময় মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুর রহমান, একই কলেজের মীর তালহা ওমর ফারুক ও মেহেদী হাসান হৃদয়, উলাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়সাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত ডা. ফজলে বারী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও নিজের দোষ স্বীকার করে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি জানান।
মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী নিজেই তার অপকর্মের দায় স্বীকার করে অঙ্গীকার দিয়ে চলে গেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে।
বি এম খোরশেদ/এসআর/এমএস