আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাগরের বাড়িতে বিএনপি নেতারা
মিরপুর ১০ নম্বরে ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী সাগর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে নিহত সাগরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সকালে লিয়াকত-আসলাম-হারুন এবং বিকেলে খৈয়ম-সাবু অনুসারীরা সমবেদনা জানান। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সাগরের বাবা-মাসহ স্থানীয়রা।
পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নেতৃত্বে বিলটাকাপুড়া কবরস্থানে শহীদ সাগরের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সাগরকে জাতীয় বীর আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া সাগরের পরিবারকে সাহায্যে করতে সরকারকে অনুরোধ জানান।
এদিকে সাগর হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান নেতারা। অন্যদিকে খৈয়ম-সাবু অনুসারীরা সাগরের কবর জিয়ারতের পর নারুয়া বাজারে এক পথসভা করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা বিএনপির সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ গোল চত্বর থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরদিন ২০ জুলাই সাগরের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে এনে তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারুয়াতে দাফন করে তার পরিবার। সাগর ওই এলাকার কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন ছেলে। এক ভাই-বোনের মধ্যে সাগর ছিল বড়।
রুবেলুর রহমান/এমআরএম