শামীম ওসমানকে মামুন
‘আপনারতো জানাজা পড়ারও মানুষ পাওয়া যাবে না’
শামীম ওসমানকে গডফাদার আখ্যা দিয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের গডফাদারকে আপনারা চেনেন? সে কী নামে পরিচিত? ‘বোরকা শামীম’। সাধারণ মানুষের কাছে সন্ত্রাসী, গডফাদারদের ঠাঁই নাই। খেলা হবে, খেলা হবে বলে আমাদের নেতাকর্মীদের হুঙ্কার দিয়েছেন এখন আপনি কোথায়? সাহস থাকলে আসেন দেখি। সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রাজত্ব করেছেন, হুঙ্কার দিয়েছেন। আজ আপনি কোথায়? আপনার তো জানাজা পড়ার মানুষও পাওয়া যাবে না। সাহস থাকলে খেলতে আসেন। আপনি তো পালিয়েছেন।’
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়স্থ সৌদি বাংলা মার্কেটের সামনে ছাত্র জনসমাবেশের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তাকে হাসিনা বললে ভুল হবে। খুনি হাসিনা, এই কথিত খুনি হাসিনা এবং তার দোষরদের বিচার বাংলাদেশের আদালতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে হতে হবে। দেশের গণহত্যার নেতৃত্ব দেওয়া এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মামুন মাহমুদ বলেন, সাধারণ সম্পাদকের নাম যেন কী? কাউয়া কাদের, ভুয়া ভুয়া। কত লম্বা লম্বা কথা বলেছিলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কত লম্বা লম্বা কথা বলেছিলেন। তারা বলেছিলেন যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তাহলে তাদের লোকজন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন। কিন্তু আমরা দেখিয়ে দিয়েছি তারা ক্ষমতা ছাড়ে নাই। তাদের নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র জনতার রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এতেই প্রমাণিত বিএনপির কাছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ নিরাপদে থাকবে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কাছে এই ১৮ কোটি মানুষ নিরাপদে থাকবে।
নাসিক মেয়র আইভিকে নিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, বিনা ভোটে নির্বাচিত মেয়র আইভী গতকাল ১০-১২ জন লোক নিয়ে শেখ মুজিবের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আপনাকে বলতে চাই, ছাত্র জনতার রক্ত এখনো শুকায়নি। রাজপথে থাকা ছাত্র জনতার রক্তের ওপর দিয়ে আপনি ছবিতে ফুল দিয়ে কী বুঝাতে চান? আমরা আপনার এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাই। পাশাপাশি নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই ওই অবৈধ সরকারের আমলের যত অবৈধ জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তাদের প্রত্যেককে বরখাস্ত করুন। তারা জনগণের ভোটে নয়, একতরফায় জনপ্রতিনিধি হয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতা অকিল উদ্দিন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এসময় জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এফএ/এএসএম