কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থক নিহত
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামের এক বিএনপি সমর্থক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিদ্দিকুর রহমান সাইচাইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার খবরে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমির হোসেন মেম্বারের অফিস ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়ভাবে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় বিএনপি সমর্থিত সিদ্দিকুর রহমানকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আওয়ামী লীগের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকাল ১০টার দিকে মারা যান সিদ্দিকুর রহমান।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। তাদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আবু জাফর রনি জাগো নিউজকে জানান, হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, সিদ্দিকুর রহমান মৃত। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়।
দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তর জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাবেক এমপি আবুল কালামের সন্ত্রাসী বাহিনী আমির হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমির হোসেন মেম্বারকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এএসএম