থানায় আটকে আইনজীবীকে মারধর, ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মারধর ও টাকা দাবির মামলা করেছেন এক আইনজীবী। নোয়াখালীর সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিসহ সাত পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) অ্যাডভোকেট মিনারুল ইসলাম মিনার (৩৫) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন, সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, মো. কামাল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তালেব, কনস্টেবল মো. রাসেল ও থানার মুন্সি রুবেল বড়ুয়া।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা তার কোনো অধনস্থন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা অনুসন্ধান করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তানজিনা আক্তার তানিয়া নামে ৭ বছরের এক শিশুকে মামলার এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত করায় আমার মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে শোকজ করেন আদালত। সেই বিরোধের জেরে ওসি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে আমার মামা আবদুল করিম মুক্তকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশ। খবর পেয়ে তাকে থানায় দেখতে গেলে ওসির নেতৃত্বে আসামিরা থানার একটি কক্ষে আটক রেখে আমাকে মারধর করেন।
‘পরে খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে থানা থেকে ছাড়াতে গেলে এসআইদের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও পরিদর্শক মিজানুর রহমান পাঠান। টাকা না পেয়ে পরদিন ২০ জুলাই আমাকে কোট সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র বিক্ষোভ দমাতে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতাসহ বিস্ফোরক আইনের মামলায় আদালতে চালান দেওয়া হয়। এসময় আমার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করার ভয় দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল হোসেন ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।’
এদিকে মামলায় উল্লেখিত ঘটনা সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন ওসি মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন সময় আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনারের অন্যায় তদবীর না রাখায় তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। পুলিশ যথাযথ নিয়মে আসামি গ্রেফতার ও আদালতে প্রেরণ করে। এখানে কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/এএসএম