জামিন পেয়ে বাড়িতে যেতে বাধা, সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৮:২১ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মৌটুপী গ্রামে জামিন পেয়ে বাড়িতে যেতে বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে কর্তাবাড়ি ও সরকারবাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রুনা বেগম (৩৫) ও মিজানুর রহমান (৫৫) নামের জন্য দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার আগের দিন ফুটবল খেলা নিয়ে কর্তাবাড়ি ও সরকারবাড়ির লোকজনের মধ্য সংঘর্ষে কর্তাবাড়ির নাদিম মিয়া গুরুতর আহত হন। গত ১৯ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নাদিমের পরিবার সরকারবাড়ির লোকজনের নামে মামলা করে। পরে সরকারবাড়ির ৬৮ জন কিশোরগঞ্জ কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) তারা জামিনে মুক্তি পান। আজ বাড়ি ফেরার পথে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এসময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল, দা, বল্লম, টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে চার ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক। সংঘর্ষে একই পরিবারে তিনজন পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে কর্তাবাড়ির সালেহা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আল-আমিন মিয়া, ভাসুর শরিফ মিয়া ও চাচাতো ভাই সাগরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংঘর্ষে নাকি টেঁটাবিদ্ধ হয়ে তারা পানিতে পড়ে যান। সংঘর্ষ আতঙ্কে এখনো পানিতে খুঁজতে যেতে পারিনি।’

কর্তাবাড়ির নেতা সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, ‘আমাদের বাড়ির নাদিম হত্যা মামলায় সরকারবাড়ির আসামিরা জামিনে বের হয়েছেন। পরে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিটিং করে পরিকল্পিতভাবে আজ আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনায় আমাদের বংশের অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে সরকারবাড়ির আল-আমিন বলেন, ‘আমরা জামিনে বের হয়ে বাড়িতে না আসতেই কর্তাবাড়ির লোকজন আমাদের হামলা করে। আমাদের হত্যা মামলার আসামি করে বাড়িঘর খালি পেয়ে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে কর্তাবাড়ির লোকজন। সংঘর্ষে আমাদের বাড়ির অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।’

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজীবুল হাসান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।