প্রিন্স

শেখ হাসিনা সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পিত কাহিনি প্রচার করছেন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কল্পিত কাহিনি প্রচার করছেন। ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে মানুষ তা বিশ্বাস করছে না।

তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা পুরো দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মন্দির, বাসাবাড়ি ও দোকানপাট রক্ষার জন্য পাহারা বসিয়েছি।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে নেত্রকোনা সদর উপজেলার নন্দীপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রমজান আলীর কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

বিএনপি নেতা প্রিন্স বলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। জয় বলছেন, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি; তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এটা শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান নিজেই বলেছেন।

তিনি বলেন, জয়ের এ কথা বলার পরই আমরা দেখলাম বিচার বিভাগের মধ্য দিয়ে একটা ক্লু করার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত হয়েছিল। সেটা ছাত্রজনতা নস্যাৎ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষ এই নিকৃষ্ট স্বৈরাচারকে ফিরে আনতে দেবে না।

এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, যুগ্ম সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, জেলা কৃষকদলের সভাপতি সালাউদ্দিন খান মিলকী, জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান ওরফে রনি, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম ওরফে এলিন, সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুবু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এইচ এম কামাল/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।