রাজশাহীর ৯০ শতাংশের বেশি জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে, ব্যাহত সেবা
হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন রাজশাহী জেলার জনপ্রতিনিধিরা। ৯০ শতাংশেরও বেশি জনপ্রতিনিধি ফেরেননি কর্মস্থলে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রম।
প্রশাসন বলছে, নিরাপত্তা কার্যক্রম যেহেতু শুরু হয়েছে, খুব শিগগির তারা কর্মস্থলে ফিরে আসবেন। যদি তারা না আসেন তাহলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে গেছেন। গত ছয়দিন ধরে তারা সবাই পলাতক থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কার্যক্রম।
নগরীর সাহেব বাজার এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘ছেলের ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় বন্ধ। আজও বন্ধ পেলাম।’
নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, ‘জরুরিভিত্তিতে একটি নাগরিক সনদ দরকার। কিন্তু কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে দেখি তালাবদ্ধ। বুঝতে পারছি না এখন কী করবো?’
একই অবস্থা গোদাগাড়ী, তানোর, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, পবা, মোহনপুর, বাঘা, চারঘাট ও বাঘমারা উপজেলা পৌরসভার। এসব উপজেলা ও পৌরসভার মেয়র- চেয়ারম্যানদের বেশিরভাগই আত্মগোপনে আছেন। ফলে এসব এলাকারও কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। জেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানও এখন আত্মগোপনে। ফলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ফিরে আসছেন তারা।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরসহ জেলার জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। এতে মারাত্মকভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা। সেনাবাহিনী কিংবা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘সবাই না, কেউ কেউ আছেন। আজই প্রথম অফিস শুরু হলো। আমরা খবর নিচ্ছি। যদি এরকম হয় তারাতো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাদের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আমরা সেখানে লিখবো।’
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ডা. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, জনপ্রতিনধিদের একটি বড় অংশ এখনো অফিসে আসেননি। তারা না থাকলেও একজন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছেন। তারাও ফাইল নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জিকেএস