আবু সাঈদের ভাই

শেখ হাসিনা জোরজবরদস্তি করে আমাদের গণভবনে নিয়ে যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৪

জোরজবরদস্তি করে আবু সাঈদের পরিবারকে গণভবনে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই রমজান আলী। শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আমাদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। শেখ হাসিনা জোরজবরদস্তি করে আমাদের গণভবনে নিয়ে যান, আর এনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আসার (ক্ষমতায়) সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাসায় আসছেন। এটা তো আমাদের সৌভাগ্য।’

আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘ছেলের নামে সরকারি হাসপাতাল চেয়েছি। যাতে মানুষ বিনামূল্যে ওষুধ পায়। একটা মসজিদের দাবি জানাইছি। রাস্তা-কলেজের নামকরণ করতে বলছি। তার নামে যেন মাদরাসা হয়। আর ছেলের হত্যার বিচার চাইছি। উনি সব করবেন বলে কথা দিছেন। শুধু আজ নয়, সব সময় পাশে থাকবেন। উনি অনেক ভালো মানুষ।’

আবু সাঈদের ভাই, শেখ হাসিনা জোরজবরদস্তি করে আমাদের গণভবনে নিয়া যান

আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর হৃদয়বিদারক কান্না আর আহাজারি করেন তার বোন সুমি আক্তার। বিশ্ব দরবারে তার আহাজারিতে লাখো মানুষের চোখ ভিজেছে।

সুমি আক্তার বলেন, স্যারের কাছে আমার ভাইকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি চাইছি। এর পেছনে যারা আছে, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের ফাঁসি চাইছি। আমার ভাইয়ের মতো যারা আন্দোলনে মারা গেছে, তারা যেন ন্যায্যবিচার পায়। আবু সাঈদের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস, মসজিদ-মাদরাসা, রাস্তা, কালভার্ট যেন তৈরি করা হয়। আমার ভাইকে যেন শহীদ মর্যাদা দেওয়া হয়। আমরা এই দাবিগুলো উপস্থাপন করছি। উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবগুলো বাস্তবায়ন করবেন।

আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ১৭ জুলাই বাবনপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় তাকে। আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে আন্দোলন জোরদার করা হয়।

জিতু কবীর/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।