এমপি-মেয়র বাবা-মেয়ের খোঁজে আলোচনা তুঙ্গে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে গা ঢাকা দিয়েছেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দীন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র তাহসীন বাহারসহ কুমিল্লা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

এদের মধ্যে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ ১৩ জনকে নিয়ে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর জানা গেলেও এমপি-মেয়রসহ বাকিরা কোথায় আছেন জানেন না নেতাকর্মীরাও। বর্তমান সময়ে তাদের নিয়ে কুমিল্লা শহরজুড়ে আলোচনা রয়েছে তুঙ্গে। সবার প্রশ্ন কোথায় আছেন তারা?

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, এমপি বাহাউদ্দীন বাহার চোখের অপারেশনের অজুহাতে গত ১৫ জুলাই কুমিল্লা ছেড়ে ঢাকায় চলে যান। এরপর আর কুমিল্লায় ফেরেননি। তিনি রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি কুমিল্লার আন্দোলন দমানোর নির্দেশ দেন নেতাকর্মীদের। সেই মেতাবেক তার মেয়ে মেয়র তাহসীন বাহার কুমিল্লার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন কায়দায় হামলা চালান।

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। সেদিন শহর থেকে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি সড়কে অবস্থান নেন বাহার কন্যা কুসিক মেয়র তাহসিন বাহার। এ সময় তার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ গত শনিবার (৩ আগস্ট) কুমিল্লা নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালান মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে চালানো হয় গুলি। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে ওইদিন মেয়র তাহসিন বাহারকে কুমিল্লার রাজপথে দেখা যায়নি।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের দিন মেয়র তাহসিন বাহার কুমিল্লাতেই ছিলেন। উত্তেজিত জনতা মুন্সেফবাড়ি এলাকায় তাদের বাসভবনটিতে আগুন দেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বাসাতেই ছিলেন। পরে তিনি কৌশলে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি নিরাপদে্ আছেন বলে জানা গেছে। তবে তার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দীন বাহার দেশে না কি বিদেশে আছেন এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।