কক্সবাজারে সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতের তাণ্ডব
কক্সবাজারে সরকার পতনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদল চিহ্নিত ডাকাত বসতবাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে। এ সময় বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড়চোপড়সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। ভাঙচুর এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয় আসবাবপত্র ও জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকায় দৈনিক সমকালের কক্সবাজার প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল মামুনের বাড়িতে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিহ্নিত ডাকাত মুবিনুর রহমান রুবেলের নেতৃত্বে দিদার, মিজান, জয়নালসহ ১৫ থেকে ২০ জন ১০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে এ লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাত দলের সদস্যরা উল্টো গুলি ছোড়ে। ভয়ে এলাকাবাসী আর সামনে আসেননি।
সাংবাদিক মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশে সাধারণ মানুষের উৎসবের সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে ডাকাতরা আমার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট চালায়। তবে এসময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এ বিষয়ে রামু থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ডাকাত মুবিনুর রহমান রুবেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পাহাড়ি এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র গড়ে ওঠে। এ চক্রের নাম দেওয়া হয় রুবেল গ্রুপ। এ গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘরে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ছাড়াও বিত্তশালী বিভিন্ন লোকজনকে টার্গেট করে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো।
অভিযুক্ত রুবেলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক মামুনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এএসএম