সাতক্ষীরার পৌর এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট
সাতক্ষীরার পৌর এলাকায় তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রাহকদের দৈনিক চাহিদা ১ কোটি ২৫ লক্ষ লিটার হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে এক কোটি লিটার। আর অগভীর যেসব নলকূপ রয়েছে সেগুলোর পানি লবণাক্ত ও আয়রণযুক্ত হওয়ায় খাবার অনুপযোগী।
তাছাড়া সরবরাহকৃত পানির মধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় টাকার বিনিময়ে পানি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সুপেয় পানি সংকটে ক্ষুব্ধ পৌরবাসী।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার পৌর এলাকায় ২টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান ও ৫টি গভীর নলকূপ রয়েছে। যার মাধ্যমে পৌরবাসীর মধ্যে সুপেয় খাবার পানি সরবরাহ করা হয়। ৮ হাজার ৫২৩ জন গ্রাহকদের জন্য যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তাছাড়া দিন দিন গ্রাহক সংখ্যাও বাড়ছে।
এ ব্যাপারে পানি সরবরাহ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, চাহিদার চেয়ে পানি সরবরাহ কম হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পৌর এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ লিটার। সরবরাহ হচ্ছে এক কোটি লিটার। প্রতি মাসে ব্যয় হয় ১৪ লাখ টাকা কিন্তু বিল পাওয়া যায় ৯-১০ লাখ টাকা। গ্রাহকদের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এসব কারণে পানি সরবরাহে একটু সমস্যা হচ্ছে।
শহরের রাজারবাগান, পুরাতন সাতক্ষীরা, কামালনগর, রসুলপুর, সিটি কলেজসহ বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ থাকলেও পানি পাচ্ছে না গ্রাহকরা। আর যেসব এলাকায় পানি পাচ্ছে সেসব এলাকায় লাইনের পাইপগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানিতে ময়লা-আবর্জনা। ফলে খাওয়ার অনুপযোগী।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি জাগো নিউজকে বলেন, সুপেয় পানির জন্য দুটি পাওয়ার ট্রিটমেন্ট প্লান রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের বাইরে পানি বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, আগে হতো। আমি নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেটি বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া যেসব এলাকায় পুরাতন পাইপ রয়েছে যা নষ্ট হয়ে গেছে সে পাইপগুলো বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আকরামুল ইসলাম/এসএস/পিআর