নতুন প্রযুক্তির কৃষিকাজ শিখতে মেলায় ছুটছেন কৃষক-কৃষাণীরা
ভোলায় কৃষকদের ফলন ও চাষবাদ বাড়াতে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। এই মেলায় এসে গ্রামের কৃষক-কৃষাণীরা শিখছেন নতুন নতুন প্রযুক্তিতে কৃষিকাজ করার নানান কৌশল। কৃষক-কৃষাণীরা বলছেন, আগে তেমন লাভবান না হলেও এখন নতুন প্রযুক্তিতে কৃষিকাজ করে ব্যাপক ফলন পাবেন ও লাভবান হবেন তারা।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক ও কৃষাণী রয়েছেন। সারা বছরই কৃষকরা কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ধান, গম, সবজি, ফল, তেল জাতীয় ফসল রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজ করে আসলেও বেশিরভাগ কৃষকেরই নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তাই সেমাবার (২৯ জুলাই) থেকে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলায় নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও কৌশল শিখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলবেঁধে ছুটে আসছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
চরখলিফা ইউনিয়নের কৃষক মো. আজগর আলী, নোমান শিকদার, হারুন অর রশিদসহ একাধিক কৃষকরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিজের ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান, গম ও বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করে আসছেন। কিন্তু সব খরচ বাদ দিয়ে তেমন একটা লাভবান হচ্ছেন না তারা। তাই দৌলতখান উপজেলায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় এসেছেন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করলে কীভাবে বেশি ফসল উৎপাদন ও বেশি লাভবান হতে পারবেন সেটি শিখতে।
মদনপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. সালাউদ্দিন, মনির হোসেন ও রুহুল আমিন জানান, তারা প্রতি বছরই তেল জাতীয় ফসলের চাষ করতেন কিন্তু বেশি লাভবান হতেন না। এবার মেলায় এসে নতুন প্রযুক্তিতে চাষ করে কীভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায় সেটি শিখেছেন।
চরপাতা ইউনিয়নের কৃষক মো. জামাল হোসেন, ছগির মিয়া, আফারাত রহমান, মোস্তফা মিয়া জানান, তারা মেলায় এসে নতুন প্রযুক্তিতে কৃষিকাজ করার কৌশল শিখেছেন। আশা করছেন আগামীতে এ প্রযুক্তিতে কৃষিকাজ করে বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন ও লাভবান হবেন।
এদিকে সোমবার ভোলার দৌলতখান উপজেলার তিন দিনব্যাপী কৃষি উন্নয়ন মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বরিশাল অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শওকত ওসমান।
এ সময় দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মো. সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম খান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর প্রমুখ।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/জেআইএম