কৃষকের আমে ভাগ্য বদল ভ্যানচালকদের
আম উৎপাদনে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে উত্তরের জেলা নওগাঁ। এ জেলার সাপাহারে গড়ে উঠেছে বিশাল আমের হাট। আমকে কেন্দ্র করে কৃষকের পাশাপাশি ভাগ্য বদলেছে নানা পেশার মানুষের।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে সাপাহার আমের হাট ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১৮০০-২০০০ ভ্যান এবং অটোভ্যানে করে আম আনেন চাষিরা। এতে চাষিদের সময় কম লাগার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে চালকদের।
পোরশা উপজেলার আমইড় গ্রামের অটোচার্জার ভ্যানের চালক মনসুর আলী বলেন, এলাকায় বাগান বেশি হওয়ার কারণে ভাড়ার চাপ অনেক বেশি। প্রতিদিন দুই ট্রিপ করে বাজারে আম আনার চেষ্টা করি। প্রতি ট্রিপে ১০০০-১২০০ টাকা ভাড়া পেয়ে থাকি। সবমিলিয়ে আমের মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভাড়া হয়।
তিনি আরও বলেন, গাড়ি চালানোর টাকা সঞ্চয় করে ১২ বছরের জন্য ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। সেখানে নিজস্ব আম বাগান করেছি। বাগান থেকেও টাকা আসা শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে আগের থেকে সুখেই আছি।
আম পরিবহন কাজের সঙ্গে জড়িত আরও এক ভ্যানচালক সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আজম আলী জানান, আমের মৌসুমে একদিনও বসে থাকতে হয় না। ভাড়া ভালোই হয়। গতবছর ৮৫ হাজার টাকা ভাড়া পেয়েছিলাম। এ বছর বাজারে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা পেয়েছি। মৌসুম শেষ হতে হতে হয়তো আরও ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পাবো। এ বছর বাজারে অত্যধিক জ্যাম হওয়ার কারণে এক ট্রিপ এনে পরেরবার আর ট্রিপ আনা সম্ভব হচ্ছে না। সকালে এসে আম বিক্রি করে বাজার থেকে বের হতে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা বেজে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ট্রিপ দিতে না পারার কারণে এবার হয়তো ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা কম পাবো। তবে আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো আছি।
এফএ/জিকেএস