ইন্টারনেটে ধীরগতি
বেনাপোলে আমদানি-রফতানি শুরু হলেও কমেনি ভোগান্তি
চারদিন পর ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে শুরু হয় এ কার্যক্রম। তবে ইনটারনেটের ধীরগতির কারণে তেমনভাবে কাজ করতে পারছেন না বন্দর ব্যবহারকারীরা।
এর আগে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় শনিবার (২০ জুলাই) থেকে বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দরে দুই সীমান্তে সহস্রাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।
আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় টানা চারদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ থাকে। ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে এ কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ইনটারনেটের ধীর গতির কারণে তেমনভাবে কাজ করতে পারছেন না বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বন্দরে পণ্য লোড আনলোড চলছে। যারা পণ্য খালাস নিতে চাচ্ছে তাদের জরুরি ভিত্তিতে খালাস দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় খালাস কম। বন্দরে ট্রাক সংকটও রয়েছে। বন্দরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, যেকোনো মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এ আহ্বান জানান।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।
জেলা প্রশাসক বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য যা যা করণীয় আমরা সেসব করবো। যেকোনো মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর চালু রাখা হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
জামাল হোসেন/এফএ/জেআইএম