সচল সমুদ্র বন্দর
পায়রায় কয়লা খালাসে ব্যস্ত সেই এমভি আব্দুল্লাহ
বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘আব্দুল্লাহ’ সারা বিশ্বেই এখন পরিচিত একটি জাহাজ। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পতাকাবাহী এই জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যূরা ছিনতাই করেছিল। তবে সারাদেশ যখন স্থবির তখন নিরাপদে পায়রা সমুদ্র বন্দরের ইনার অ্যাঙ্করে লাইটারেজের মাধ্যমে কয়লা খালাস করছে এসআর সিপিং এর সেই এমভি আব্দুল্লাহ। আর এই কয়লা দিয়েই সচল রয়েছে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
দেশের আমদানি-রপ্তানি যখন তলানিতে, ঠিক সেসময় তিনটি জাহাজ এই বন্দর ব্যবহার করে পণ্য খালাস করছে। আর জুলাই মাসেই বন্দরে ভিড়েছে আটটি বিদেশি জাহাজ।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তারা কাজ করছেন।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান জানান , গত ১৮ জুলাই Mv sea spirit এবং Mv Abdullah নামে দুটি মাদার ভ্যাসেল পায়রা বন্দরে আসে। এছাড়া ১৯ জুলাই Mv Bright কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করেছে। পায়রা বন্দরের পণ্য লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে এ পর্যন্ত বন্দরে আটটি মাদার ভ্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে। এ থেকে সরকারের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে বন্দরের প্রথম জেটি, ছয় লেনের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী জানান, বন্দরে এখন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ সরকারের জারি করা কারফিউ, সব কিছু মাথায় রেখেই পুরো কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা এবং বন্দর সচল রাখতে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আর এ কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
বর্তমানে পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তায় বন্দরের ৩১ জন নিরাপত্তা কর্মী, ৪৮ জন আনসার সদস্য এবং নৌবাহিনীর ৪২ জন সদস্য কাজ করছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/জেআইএম