ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যান চলাচল
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে চিরচেনা রূপে ফেরেনি সড়ক। এখনো সীমিত সংখ্যক গাড়ি চলছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে দেখা গেছে, সড়কে গত এক সপ্তাহের তুলনায় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি চলাচল বেড়েছে। তবে সংখ্যায় কম। বারইয়ারহাট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা চয়েস, উত্তরা, মিরসরাই এক্সপ্রেসের কিছু কিছু বাস চলাচল করছে।
এসব এলাকায় রাস্তায় আগের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর খোলা হয়েছে। তবে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতা কম।
সীতাকুন্ড-বারইয়ারহাট রুটে চলাচল করা লেগুনাচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আর পারছি না, কতদিন বাড়িতে বসে থাকবো। পাঁচদিন পর রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। তবে যাত্রী তেমন নেই। সীতাকুন্ড থেকে মস্তাননগর বিশ্বরোড পর্যন্ত ভাড়া পেয়েছি মাত্র ১৮০ টাকা। অথচ এই পথে অন্য সময়ে ৬০০-৭০০ টাকা ভাড়া পেয়ে থাকি।’
নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে। রোববার থেকে ব্যাংক বন্ধ। আজ খুলবে শুনে মিরসরাই ইসলামী ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে দেখি ব্যাংক বন্ধ। ব্যাংকের দরজায় তালা ঝুলানো। দাঁড়িয়ে থাকা সিকিউরিটি বললো এই শাখা খোলা নয়, খোলা বারইয়ারহাট ও সীতাকুন্ড শাখা। আমার কাছে কার্ডও নেই। তাই টাকা না তুলে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
এদিকে মহাসড়কের ধুমঘাট থেকে সীতাকুন্ডের সিটি গেট পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে টহলে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বেড়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ টহলে রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কারফিউ চলাকালীন এখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/জিকেএস