১৬ হাজার টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দিলেন এসআই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৪
এসআই রফিক

নোয়াখালীর চরজব্বর থানায় পরোয়ানার এক আসামিকে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে চরজুবলী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়াকে আটক করে এ টাকা আদায় করেন এসআই রফিক।

আসামি ওয়াছিম মিয়া (৫৫) চরজুবলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তার স্থানীয় বাজারে হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে।

ভুক্তভোগীর মেয়ের জামাই আবদুল মন্নান জাগো নিউজকে বলেন, আমার শ্বশুরের নামে পল্লী বিদ্যুতের ১৯ হাজার ৪৫৬ টাকা বিল বকেয়া ছিল। বিদ্যুৎ অফিস এ টাকার জন্য মামলা দায়ের করে। আমার শ্বশুর ওই বিল পরিশোধ করে মামলা তুলে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করে।

এদিকে ওই মামলার পরোয়ানা নিয়ে আমার শ্বশুর ওয়াছিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে যান এসআই রফিক। পরে তিনি সব শুনে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আসামিকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। পরে ১৬ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে এসআই রফিক থানায় ফেরত যান।

তবে ওয়াছিম মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আগের দিন টাকা নেওয়ার পর শনিবার (১৩ জুলাই) রাতেও চরজব্বর থানার চার পুলিশ বাড়িতে এসে ওয়াছিম মিয়ার খোঁজ করেন। তিনি বাড়িতে নেই বলার পরও ঘরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, পরোয়ানা পাওয়ার পর এক সোর্সের মাধ্যমে আসামি ওয়াছিমের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরে নিউজ না করার জন্য বিভিন্নভাবে তদবিরও করেন তিনি।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওছার আলম ভুইঁয়া জাগো নিউজকে বলেন, থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) কাছে ভুক্তভোগীরা মৌখিক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকলে এসআই এবং সোর্স সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।