গাইবান্ধা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
গাইবান্ধায় কোটা সংস্কারের দাবিতে গণপদযাত্রায় হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে গণপদযাত্রা বের হয়। এসময় গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃতে কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাস ও সাধারণ সম্পাদক রাহেলা সিদ্দিকাসহ পাঁচজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাস বলেন, ‘কলেজে আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে গণপদযাত্রা বের করি। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাধা দেন। তারা আমাকে ও আমাদের আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমাদের ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর আমাদের যে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল সেটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ চায় না কোটার একটা সমাধান হোক। হামলা করে আমাদের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৩টার দিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহরের পুরাতন জেলখানা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। সেইসঙ্গে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম বিশাল বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমরা তাদের বুঝিয়েছি। পরে তারা নিজেরাই হট্টগোল করেছে। আমরা মনে করি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা সংস্কার একটি যৌক্তিক ইস্যু। যৌক্তিক ইস্যুটি যখন একটি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে সেটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উচিত আইনি প্রক্রিয়াকে সম্মান করা।
এএইচ শামীম/আরএইচ/জিকেএস