বিসিকের বালু দিয়ে জলাশয় ভরাট, বন্ধ করলো বিসিসি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৪

জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফরচুন সুজ’ কর্তৃক ৩নং ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকার একটি জলাশয় বালু দিয়ে ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। পাশাপাশি এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর পুরানপাড়া এলাকার একটি জলাশয়ে এক পারের কিছু অংশে সম্প্রতি বালু ফেলা হয়েছে। আর কিছু অংশে কয়েক বছর আগে বালু ফেলা হয়েছিল। এই জলাশয় ভরাটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় আশেপাশের বাড়িঘর।

পুরানপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল হক বলেন, উক্ত জলাশয় ভরাট করছে মিজানুর রহমানের জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফরচুন সুজ’। তারা পুকুরের একাংশ স্থানীয় মৃধা ও খান বাড়ির কাছ থেকে নানা কৌশলে কিনে নিয়েছেন। এছাড়া বাকি অংশ দখল করেছেন। এখন জলাশয় ভরাট করায় তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান মুন্না জানান, জলাশয় ভরাটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পুরানপাড়া থেকে লাকুটিয়া খাল পর্যন্ত কয়েকশ পরিবারকে। মূলত বালুভরাট করে কালভার্ট আটকে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিসিসির অবৈধ উচ্ছেদ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বেশ কিছু প্লট আছে ওই জলাশয়ের পাশে। বিসিকের বালু দিয়েই ওই জলাশয় ভরাট করছেন মিজানুর রহমান। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গিয়ে গত সপ্তাহে জলাশয়টি ভরাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিসিকের বালু দিয়ে জলাশয় ভরাট, বন্ধ করলো বিসিসি

তিনি আরও বলেন, বিসিকের বালু দিয়ে জলাশয় ভরাটের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কেন জলাশয় ভরছে তা জানতে ফরচুন সুজকে চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিসিকের প্রকল্প পরিচালক জালিস মাহমুদ বলেন, বিসিসি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পেয়েছে যে বিসিকের প্লটের বালু নিয়ে বাইরের জলাশয় ভরাট করছে ফরচুন সুজ। পরে বিসিসির সচিবসহ কর্মকর্তারা জলাবদ্ধতা রোধে বালি দিয়ে জলাশয় ভরাট বন্ধ করে দেয়। ওই ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন তারা।

অভিযুক্ত ফরচুন সুজের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ভাই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, এটি জলাশয় নয়, ধানি জমি। সেখানে আমাদের ক্রয় করা জমি রয়েছে। বিগত মেয়রের সময় তারা এর একাংশ ভরাট করে পাকা স্থাপনা করাকালে আপত্তি দেওয়ায় কাজ বন্ধ রাখেন। এখন হয়তো আবারো বালু ফেলা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জলাশয় ভরাট করায় ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়নি বরং তারা পাশ দিয়ে ড্রেন করে দিয়েছেন। তাছাড়া সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করেনি।

শাওন খান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।