গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি কমছে
গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করছে। জেলায় চার উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ও ৫০ হাজার গবাদি পশু পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে করে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার চর খামারজানি গ্রামের মতিন প্রামাণিক বলেন, নদীতে পানি কমতে শুরু করছে। তবে সেটি ধীর গতিতে। এ পানি ঘরবাড়ি থেকে বের হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ঘরে চাল থাকলেও রান্না করে খেতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ির মো. ছকু মিয়া বলেন, ‘দুই দফার বন্যা আমাদের শেষ করছে। পানি কমায় বাড়ি কোনা খালি জেগে উঠছে। আর চারদিকে পানি আর পানি। হামাদের খাবারের আর কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তবে গরু নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। এখন গরুগুলোক কি খায়াম সেই চিন্তায় মোর ঘুম ঘরছে না।’
ছালেয়া বেগম বলেন, ‘বন্নাত মোর ঘর কোনায় পানি উঠছে। মুই অনেক কয়েক দিন হলে আরেক জনের বাড়িত থাকম বা। সরকার থেকে কিছুই পাম নেই। ঝেটে থাকম তারাই এনা খাবার দেয়। স্যাকনাই খাম বা।’
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল হাসান বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকে চাল, শুকনা খাবার, নগত অর্থ, শিশু খাবারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে বন্যায় দুর্গতদের সহযোগিতা করা হয়েছে। এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া।’
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘গাইবান্ধায় প্রায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করছে। কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ মুহূর্তে পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নাই।’
এ এইচ শামীম/আরএইচ/জেআইএম