রৌমারীতে মুখোমুখি আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ, পুলিশ মোতায়েন
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। শনিবার উভয়পক্ষ দিনভর পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছ। ফলে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে পুলিশের বিশেষ টিম এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল রৌমারী ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে পথসভা করে। পথসভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি রফিকুল আলম শাহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদ শাহ নেওয়াজ তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএমএ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আফজাল হোসেন বিপ্লব, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভার) আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মতিউর রহমান মতি, সাবেক সহ-সভাপতি এনআর জাহাঙ্গীর রবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাদলসহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী।
সমাবেশে সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু বলেন, বর্তমান অনুমোদনহীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা একজন বই চোর। সরকারি চাকরি করার পরও তিনি কীভাবে দলের একটি ভাইটাল পোস্টে থাকতে পারেন। আমরা এই অবৈধ কমিটির বিলুপ্তি চাই, সেই সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি চাই।
অপরদিকে সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার আহসান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ খোকা, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বাসায় মিলিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যে গ্রুপটি আজ বিশৃঙ্খলা করছে, তারা একসময় আমার কাছ থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। তারা আজ বর্তমান এমপির পক্ষ নিয়ে দলটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও রৌমারী সার্কেল মমিনুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রয়েছে।
ফজলুল করিম ফারাজী/জেডএইচ/জেআইএম