যোগাযোগ ব্যাহত
বৃষ্টিতে সড়ক গিয়ে মিশলো ডোবায়
ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামে চলাচলের প্রধান সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াড় গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এই গ্রাম ছাড়াও আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষিপণ্য এ সড়ক দিয়েই হাট-বাজারে আনা নেওয়া করা হয়। এছাড়া জমির ফসলও কৃষকরা এ সড়ক দিয়েই বাড়িতে আনেন।
কিন্তু হঠাৎ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচঢালা এ প্রধান সড়ক ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে খোয়াড় গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালপাড়া, খাগইড়, গোবিন্দপুর, সেনহাঁটি, গৌড়দিয়া, সিংহপ্রতাপ, বালিয়া, গট্টি, ভাবুকদিয়া ও ঠেনঠেনিয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
দেখা যায়, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজার থেকে আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রাম হয়ে গৌড়দিয়া বাজারে মিশে গিয়েছে পিচঢালা সড়কটি। এ সড়কের খোয়াড় গ্রামের মাঝামাঝি ছালাম মেম্বার ও আরশাদ মাতুব্বরের বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় এ সড়কটি ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সড়কটির পিচসহ মাটি ধসে পাশের ডোবায় গিয়ে মিশেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল আকারের গর্ত। এছাড়াও একই গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর ও ছাত্তার মাতুব্বরের বাড়ির সামনেও সড়কটিতে ধস শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোয়াড় গ্রামের সামচেল ফকির, ওমর আলী, জব্বার মাতুব্বর ও মোজাফ্ফার মাতুব্বর জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের চলাচলের প্রধান সড়কটি কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। পার্শ্ববর্তী ১১ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ এ ভোগান্তির শিকার। আমরা অতিশিগগির এ সড়কের মেরামত দাবি করছি।
ভ্যানচলক রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সড়কটি ধসে গিয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে ভ্যান চালানোতো দূরে থাক, হেঁটে চলাচলও মুশকিল।
এ ব্যাপারে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি দেখা হবে।
সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, খোয়াড় গ্রামবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। সড়কটি মেরামতের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) আবু জাফর মিয়ার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আমরা ধসে যাওয়া ওই সড়কের কয়েকটা ছবি মোবাইল ক্যামেরায় দেখেছি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামতে ব্যবস্থা নেবো।
এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস