সেতুর পর ভাঙলো সাঁকো, ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ
নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু এক বছর আগে ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন ১০ গ্রামের মানুষ। পরে ওই স্থানে হেঁটে পারাপারের জন্য তৈরি হয় কাঠের সাঁকো। কিন্তু এবার চরম বৃষ্টিতে সেটিও ভেঙে পড়েছে। এবার দুটি বাঁশ পেতে তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ।
বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজের প্রভাষক শফিউল হাসান তিতু বলেন, উপজেলার পৌর এলাকার লক্ষ্মীকোল-কয়েন আঞ্চলিক সড়কের চক-বড়াইগ্রাম এলাকায় বড়াল নদীর ওপরের সেতুটি প্রায় এক বছর আগে ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় এই সেতু দিয়ে নগর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার লাখো মানুষের চলাচল। পরে বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন নিজ উদ্যোগে কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে দেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বড়াল নদীতে বৃষ্টির পানিতে স্রোত সৃষ্টি হলে সেটিও ধসে পড়ে। ফলে আবারো যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার হোসেন বলেন, এই সেতু ধসের ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা ও পৌরসভার সেবা গ্রহণ করতে মানুষকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। বড়াইগ্রাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন বলেন, মানুষের পায়ে চলাচল করার জন্য আবারো সেতুটি সংস্কার করার প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) জানানো হয়েছে।
এলজিইডি বড়াইগ্রামের প্রকৌশলী রবিউল আলম বলেন, সেতুটি নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমার স্পেশাল বরাদ্দ থেকে সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই সেতুটি বড়াল নদীর ওপর নির্মাণ করতে হবে। কিছুটা জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে যেন বড়াল নদী খননের সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমএস