যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
যশোরের বাঘারপাড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ জুলাই) যশোর-নড়াইল সড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত শুকুর শেখের ছেলে সিদ্দীক শেখ (৫০), কেশবপুর উপজেলার রাজাকাঠি গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে তারেক রহমান (৩৫) ও সবুর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের সবেদ আলীর ছেলে আব্দুস সবুর (৪২)।
আহতরা হলেন- দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের মোস্তাক মোল্লার ছেলে আবু সুফিয়ান (২০), আক্কাস মোল্লার ছেলে সাহিদুল ইসলাম (১৮), বারিক মোল্লার ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৮) ও জালাল মোল্লার ছেলে কবির হোসেন (৩৫) এবং গাজীপুর জেলার রায়হান হোসেন, ফরিদ আলী ও রমজান আলী। তারা যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও বাঘারপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আব্দুল মজিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নড়াইল থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক বাঘারপাড়া উপজেলার যশোর-নড়াইল মহাসড়কের দক্ষিণ শ্রীরামপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদারের বাড়ির সামনে এসে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এ সময় কয়েকজন মৎস্য শিকারি চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সিদ্দিক শেখ। আহত হন চারজন।
আরও পড়ুন
একই দিন বেলা ১১টার দিকে যশোর-নড়াইল সড়কের করিমপুর ঈদগাহর সামনে দুটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে তারেক রহমান ও সবুর নিহত হন। এর মধ্যে সবুর ঘটনাস্থলে মারা যান। আর তারেক রহমানকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় আহত রায়হান, রমজান ও শেখ ফরিদকে উদ্ধার করে ২৫০ বিশিষ্ট যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা হয়। তবে দক্ষিণ শ্রীরামপুরে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও পিকআপ উদ্ধার করেছে। তবে ট্রাক ও পিকআপের দুই চালক পলাতক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, দুটি পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটির চালক এবং একটির যাত্রী নিহত হয়েছেন।
মিলন রহমান/ইএ