গাইবান্ধায় পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষ, সীমাহীন দুর্ভোগ
গাইবান্ধায় গত কয়েকদিন নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি। পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন জেলার চার উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। গত ১০ দিন ধরে অসহনীয় দিন পার করছেন তারা। নতুন করে পানি বাড়তে থাকায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
বন্যায় অনেকের বাড়িঘরে পানি ওঠায় তারা নৌকা বা উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট। জ্বালানির অভাবে চুলা জ্বলছে না। পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকট থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বানভাসিরা। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং শহরে নিউ ব্রিজ স্টেশনে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ও করতোয়া নদের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের চর খামারজানি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই মিয়া। তিনি বলেন, ‘টানা ১০ দিন ধরে ঘরের বাইরে পানি। বউ- ছোল নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কাজ-কাম নাই, হাতে টাকা নাই। থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট।’
হায়দার আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘দুদিন পানি কমলো, আজ সকাল থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। একদিকে আমাদের নিজের খাবার নিয়ে চিন্তা, অন্যদিকে গরুর খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।’
এ এইচ শামীম/এসআর/জেআইএম